বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ॥ বোরহানউদ্দিনে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এসব তরমুজ পুরো জেলার চাহিদা মিটিংয়ে বরিশাল, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। অনুকূল পরিবেশ, রোগব্যাধি কম ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। বর্তমান বাজারে তরমুজের দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা। বোরহানউদ্দিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৩৪০ হেক্টর। এবছর হেক্টর প্রতি তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ৫৫ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে মোট উৎপাদন হবে ১৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন ৩০ হাজার টাকা দরে এবছর উপজেলায় প্রায় ৫৬ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে তারা আশা করছেন। উপজেলার মাঝের চরের কৃষক শাহাবউদ্দিন জানান, চলতি বছর তার ২৫ একর জমিতে তরমুজ আবাদ করতে খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। তিনি আশা করছেন এ বছর ৩৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর কালেঙ্গার কৃষক ইউসুফ মাঝি জানান, তিনি ১ একর জমি থেকে ইতিমধ্যেই ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির কথা চলছে। আরেক কৃষক করিম মাঝি জানান, ২ একর জমি থেকে এবার ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তরমুজ চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সে জন্য এবার চাষ কম হয়েছে। কিন্তু এবার খুব ভালো ফলন ও কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ায় আগামী বছরগুলোতে কৃষকরা আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করবে। ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, অনুকূল পরিবেশ, ভালো বাজার ব্যবস্থাপনা আর বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। দাম রয়েছে সন্তোষজনক। সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে ভোলার কৃষকরা আরও বেশি তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে।
Leave a Reply